স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সরকার দেশের ৫টি বিভাগীয় শহরে আগুনে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার্থে আরও ৫টি বার্ন ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশে প্রায় ৭ লাখ মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়। এদের অধিকাংশই গরীব। তাদের সবার পক্ষে ঢাকায় এসে চিকিৎসা নেয়ার সক্ষমতা নেই। তাই আগুনে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মতো দেশের ৫ বিভাগীয় শহরে আরও ৫টি বার্ণ হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আজ সংসদে স্বতন্ত্র সদস্য আওলাদ হোসেনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগুনে দগ্ধ রোগীদের প্রথম ২৪ ঘন্টা দগ্ধ হচ্ছে গোল্ডেন টাইম। এই ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে নিয়ে সঠিক চিকিৎসা দেয়া গেলে দগ্ধ রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এ জন্যই দগ্ধ রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে সরকার বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, পরিকল্পনার আওতায় সরকার রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশালে ৪টি ১শ’ শয্যার বার্ন হাসপাতাল স্থাপন করবে। এছাড়া রংপুর এবং চট্টগ্রামে একটি ১৫০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন কাজ চলছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আর বেড বাড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ এটি ইনস্টিটিউট হওয়ায় এখানে মূলত একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
সরকারি দলের আরেক সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার মিরপুর সেকশন-১২ এ একটি ২শ’ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।
Leave a Reply